হাতের এই গুনাহ করলে যে ৫টি ক্ষতি হয়, বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও।
যেনা যে কত বড় পাপ
অর্ধেক রাত হলে আকাশের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এই সময় যে দোয়া করে আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে নেন। আল্লাহ এই দোয়া ফিরিয়ে দেন না। যে যে বিষয়ে চাই… আল্লাহ তা কবুল করে নেয়, যে যেকোন বিপদে পড়েছে আল্লাহ তাকে উদ্ধার করে নেন।
তবে….
যার জেনার সম্পর্ক আছে, আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন না। আমি কি দিয়ে বোঝাবো আপনাদের কে, যে জেনা কত বড় অপরাধ আমি কি দিয়ে বুঝাই আপনাদেরকে যে জেনা কত বড় বিপদ। আর এটা এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে হচ্ছে. যেখানে-সেখানে হচ্ছে. যেটা মানুষের কাছে আজকাল এটা পাপের বিষয় না।
হে যুবক ভাই ও বোনেরা এই পোস্ট পড়ে শেষ করার আগেই আপনাদের কাছ থেকে যত ছেলে মেয়ের নাম্বার আছে যত মেয়ের নাম্বার আছে আপনি ডিলিট করে দেন
চলুন এই বিষয়ে আমরা আরো কয়েকটি জরুরী কথা জেনে নেই….
মুহাম্মদ (সঃ) বলেন আমি রাতে ঘুমিয়েছিলাম, জিবরাঈল আমার ডান হাত ধরলেন মিকাইল আমার বাম হাত ধরলেন. ধরে আমাকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন. যেতে যেতে দেখি। অনেক মানুষ! অনেক… অনেক… মানুষ ফুলে-ফেঁপে বিশাল বিশাল আকার ধারণ করে আছে। ৫০ হাত ১০০ হাত উঁচু উঁচু হয়ে আছে। দুর্গন্ধে টিকা জায়না, এত… এত… পরিমাণে গন্ধ, মনে হচ্ছে গ্রামের টয়লেট, মনে হচ্ছে তারা যেন গণশৌচাগার, মনে হচ্ছে তারা যেন গ্রামের শৌচাগার, যেই শৌচাগার পরিষ্কার করা হয় না, যে শৌচাগারের গন্ধে টেকা জায়না। এমত অবস্থায় তারা বিশাল বিশাল রূপ ধারণ করে আছে।
আমি বললাম, জিব্রাইল এ কে! এরা কারা! ছিঃ ছিঃ-ছিঃ.. এত কেন গন্ধ, এত কেন ফুলে আছে, তখন জিবরাঈল (আঃ) বললেন এরা হলেন ব্যভিচার ব্যভিচারিণী….।
শোনো হে যুবক ……..
জিবরাঈল আমার ডান হাত ধরলেন, মিকাইল আমার বাম হাত ধরলেন, ধরে নিয়ে আমাকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন, যেতে যেতে দেখি একটা গর্ত, চলার মত ! হে যুবক জানেন এটা কেমন চুলা,
তন্দুর রুটি তৈরি করার মতো চুল।
হে যুবক তন্দুর রুটি তৈরি করার চুলা কখনো দেখেছেন। যে চুলের ভিতরে রুটি দেওয়া হয় এবং সিদ্ধ হওয়ার পরে বের করে নিয়ে আসা হয় ঠিক এরকম একটা চুলা
তার ভিতর দেখি ধাঁধা ধাঁধা করে আগুন জ্বলছে। আগুন যখন জোরে জ্বলে উঠছে, তখন ওর ভিতরে যা কিছু আছে উপরে উঠে যাচ্ছে, আর যখন আগুনটা কমে আসছে সবকিছু তার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। তাকিয়ে দেখি, ওর ভিতরে পুরুষ এবং নারীর জমাট বেঁধে আছে, উলঙ্গ অবস্থায়। পরনে কাপড় নেই কারোর। তারা একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। ধাঁধা করে আগুন যখন জোরে জ্বলেউঠছে, তখন সবকিছু উপরে উঠে যাচ্ছে, মনে হচ্ছে তারা বাহিরে পড়ে যাবে। কিন্তু না আবার যখন আগুন আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে তারা ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে।
আমি বললাম জিব্রাইল এরা কারা ?
জিবরাঈল (আঃ) বললেন এরা হলেন ব্যভিচার ব্যভিচারিণী
আল্লাহর নবী বলেছেন…
যেসব মহিলারা জেনায় লিপ্ত হবে তাদের লজ্জাস্থানের গন্ধে জাহান্নামীরা জাহান্নামে টিকতে পারবে না
শুনুন সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোনেরা..!
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেন..
রাসূল (সঃ) বলেছেন, অবিবাহিত ছেলে মেয়ে যদি যিনায় লিপ্ত হয়, তাহলে তাকে 100 ঘাত বেতের আঘাত করে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দিতে হবে। আর যদি বিবাহিত পুরুষ ও মহিলারা যিনায় লিপ্ত হয়, তাহলে তাদেরকে ইট, ঢিল, পাথর দিয়ে মেরে মেরে, মেরে ফেলতে হবে।
শুনুন সম্মানিত দ্বীনি ভাই
একবার আপনার আশেপাশে তাকিয়ে দেখুন এদেশের ভাবিদের কি অবস্থা। এ দেশের দেবর দের কি অবস্থা। এরকম লাখো ভাবি ও দেবর কে মেরে মেরে। মেরে ফেলতে হবে। যারা দেবর ও ভাবির সঙ্গে যিনায় লিপ্ত হয়েছে।
এরকম লাখো দুলাভাইকে ইট, ঢিল, পাথর মেরে, মেরে ফেলতে হবে। যারা শেলী কার সাথে যিনায় লিপ্ত হয়েছে।
এরকম লাখো পুরুষকে ইট, ঢিল, পাথর মেরে, মেরে ফেলতে হবে। যারা ঘরে স্ত্রী থাকার পরেও বাইরের নারীর সঙ্গে যিনায় লিপ্ত হয়েছে।
এরকম লাখো নারী, যারা ঘরে পুরুষ থাকার পরেও অন্য পর পুরুষের সামনে কাপড় খুলেযিনায় লিপ্ত হয়েছে। এদেরকে ইট, ঢিল, পাথর মেরে, মেরে ফেলতে হবে।
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন
তিন শ্রেণীর মানুষকে হত্যা করতে হয় .তবে এর মধ্যে দুই শ্রেণীর মানুষের বাঁচার পথ আছে, একশ্রেণীর মানুষের বাঁচার পথ নেই।
যাদেরকে হত্যা করতে হবে…!
১. কেউ যদি বলে আমি কোরান মানি না, তবে তাকে হত্যা করতে হবে।
২. কেউ যদি বলে মদ হালাল, গাভির দুধ হারাম, তবে তাকে হত্যা করতে হবে।
যাদের বাঁচার পথ আছে….
১. মৃত্যুর যোগ্য পাপ করলে, সরকারের পক্ষ থেকে হত্যা করা হবে। গলায় ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হবে এমতাবস্থায় যদি বলে, ভুল করেছি… ভুল করেছি…. আমি আমার কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি। তাহলে তাকে মুক্তি দিতে হবে বেঁচে গেল কারণ পাপ করেছিল মৃত্যুর যোগ্য।
২ কেউ যদি কাউকে হত্যা করে তবে তাকে হত্যা করতে হবে এর নাম কেসার্স
ভাই ও বোনেরা মনে করো,
তোমার দাদার বয়স ৯০ বছর নিয়মিত তাহাজ্জত নামাজ পড়ে। ফজরের ওয়াক্তে নামাজ পড়ার জন্য বের হচ্ছিল, এমত অবস্থায় একজন তাকে গালি দিল।
পরেরদিন আপনার দাদা তাকে সামনে পেল, আর সামনে পাওয়ার সাথে সাথেই তাকে এক চড় দিলো, চড় মারার সাথে সাথে ছেলেটি মারা গেল।
এখন তোমার দাদাকে কেসার্সের মতে হত্যা করতে হবে সরকারের পক্ষ থেকে।
তবে তোমার দাদার বাঁচার পথ আছে ওই ছেলের পরিবারের লোক যদি পড়ে আসা যাক যাক আমার ছেলে কে মেরেছে আমরা হারবো না আমরা মাফ করে দিচ্ছি তাহলে তোমার দাদার বাঁচার পথ বের হয়ে গেল এবং তোমার দাদা বেঁচে যাবে
৩. কেউ যদি বিবাহ করার পরে, যেনা করে তবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করতে হবে। তার কোন বাঁচার সুযোগ নাই।
হে যুবক শুনুন….
একদিন গ্রামের এক মহিলা রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর কাছে এসে বলছেন হে আল্লাহ রাসূল, আপনি আমাকে পবিত্র করুন
তখন রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বললেন তুমি বাড়ি ফিরে যাও আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, তুমি তওবা করো, তোমার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
তখন মহিলা বললেন..
হে রাসূল (সাঃ) আপনি মাইজিয়ো মালেকে, বিচার না করে বারবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, আপনি কি আমাকে ওইভাবে ফিরিয়ে দিতে চাচ্ছেন।
আমার পেট উঁচু হয়ে আছে অবৈধ সন্তানে, আমার পেটে অবৈধ সন্তান রয়েছে, দয়া করে আপনি আমার বিচার করুক, আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েন না, আপনি আমার বিচার করে দেন।
তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন..
আচ্ছা ঠিক আছে, ঠিক আছে, তুমি বাড়ি চলে যাও, যখন তোমার বাচ্চা হবে, তখন তোমার বিচার করে দেব।
মহিলা বাড়ি চলে গেল, বাচ্চা সবেমাত্র প্রসাব হয়েছে (মুসলিম গ্রহন্থে এসেছে) প্রসাব হওয়া মাত্র বাচ্চাটাকে নেকড়ার মধ্যে জড়িয়ে নিয়ে এসে, আল্লাহর রাসূল এর দরবারে এসে বলছেন, এই দেখেন, এই দেখেন, বাচ্চা প্রসব হয়েছে। এখন বিচার করে দেন।
আল্লাহর রাসূল মাথা নিচু করে বললেন..
ঠিক আছে এখন তুমি বাড়ি চলে যাও, বাড়ি গিয়ে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াও,যেদিন দুধ খাওয়া ছেড়ে দেবে, সেইদিন তোমার বিচার করে দেব।
মহিলা চলে গেল, বাচ্চাটিকে 2 বছর দুধ পান করালো দুই বছর পরে, মহিলা বিচারলয়ে উপস্থিত, এমত অবস্থায় বাচ্চাদের হাতে একটুকরো রুটি রয়েছে, এ থেকে বোঝা যায় বাচ্চাটি খাবার খাওয়ার যোগ্য হয়েছে।
এমত অবস্থায় আল্লাহর রাসূল (সঃ) বাচ্চাটিকে হাতে নিয়ে, একটা মুসলমান লোকের কাছে দিয়ে বললেন, যাও তুমি এই ছেলেটিকে লালন পালন করো।
এবার মহিলাটির বিচারের পালা..
আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন যাও, তোমরা এই মহিলাটিকে মাঠে নিয়ে যাও, মাঠে নিয়ে গিয়ে মহিলাটিকে বুক পর্যন্ত পুতে, মহিলাটিকে ইট ঢিল পাথর মেরে মেরে, মেরে মেরে ফেলে দাও।
সাহাবীগণ বললেন..
আমরা তাকে মাঠে নিয়ে গিয়ে বুক পর্যন্ত গর্ত করে, তাকে মাটিতে পুঁতে দিলাম, এরপর চতুর্দিক থেকে ইট ঢিল পাথর মারতে লাগলাম। খালিদ বিন ওয়ালিদ বললেন একটা পাথর আমি হাতে নিয়ে তার মুখের উপরে মারলাম, পাথরটি লেগে তার মুখ ফেটে রক্ত বেরিয়ে, আমার গায়ে লাগলেন, খালিদ বিন ওয়ালিদ গালি দিয়ে বলেছিলেন, ছিছি একটা জেনাকারীর রক্ত আমার গায়ে লাগলো (এরাকম কিছু একটা হবে)
আল্লাহর রাসূল (সঃ) বললেন খালিদ বিন ওয়ালিদ তুমি ওকে গালি দিও না। এই মহিলা, আল্লাহর কাছে এত এত তওবা করেছেন, এত এত কান্নাকাটি করেছে, পৃথিবীর বড় থেকে বড় পাপী এভাবে যদি কান্নাকাটি করে তবে তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। তুমি ওকে গালি দিও না খালি।
আপনাদেরকে আমি কি দিয়ে বুঝাই
পৃথিবীর সবচাইতে পাওয়ারফুল মানুষ হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীর ইতিহাসের বুকে এত বড় পাওয়ারফুল মানুষ আর কেউ জন্ম নেননি, কিয়ামত পর্যন্ত কেউ নেবে না।
জান্নাতের গেটে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে সর্বপ্রথম যে মানুষটা ঢুকবে সে হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
জান্নাতে একটা ঘর আছে, এই ঘরের পিছনে একটা ফেরেশতা দাঁড়িয়ে আছে। তাকে বলা হয়েছে, কেউ যদি বাহির থেকে এসে ঠকঠক করে আওয়াজ করে বলে, আমি মোহাম্মদ তখন তুমি দরজা খুলে দেবে এর আগে খুলবে না।
আপনাদেরকে আমি কি দিয়ে বুঝাই মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত বড় পাওয়ারফুল মানুষ
এত বড় পাওয়ারফুল মানুষ। ওই মহিলাকে বলতে পারলেন না, যাও যাও তোমার গুনহা মাফ হয়ে গিয়েছে এই কথা তিনি বলতে পারলেন না। এত বড় পাওয়ারফুল মান মানুষ।
তিনি শুধুমাত্র এতোটুকুই বললেন..
খালিদ তুমি ওকে গালি দিও না, ও এত তওবা করেছে, এরকম তওবা যদি বড় থেকে বড় পাপী করে তবুও তার পাপ ক্ষমা করা হবে খালিদ….।
তার মানে, এই মহিলার পাপ ক্ষমা হয়ে গেছে, তাইতো তিনি জানাজা করলেন, তাইতো তিনি কাফন দাফন করলেন।
কিন্তু তিনি বলতে পারলেন না, যাও যাও তোমার বিচার হবেনা, তোমার পাপ ক্ষমা হয়ে গিয়েছে, পৃথিবীর সবচাইতে পাওয়ারফুল মানুষ এই কথা বলতে পারলেন না,
তারমানে বিবাহ করার পর জেনা করলে তার বেঁচে থাকার কোন সুযোগ নেই আমি আপনাদেরকে কি দিয়ে বুঝাই শরীয়ত কি জিনিস
আপনারা হয়তো এখন প্রশ্ন করতে পারেন, যে ভাই আপনার কথাগুলো বুঝেছি, এখন পথঘাট বলেন।
জি পথঘাট আছে, নিরাশ হবেন না, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই, শুনুন নিরাশার কিছু নেই, এই পাপ কার সাথে জড়িত, আল্লাহর সঙ্গে জড়িত আল্লাহ চাইলে আপনাকে মাফ করে দিতে পারেন। তবা করুন যে আর এই পথে যাবেন না, ফিরে আশুন, যা করেছেন এই পর্যন্ত থেমে যান, আল্লাহুর কাছে তওবা করুন, ফোনে যা কিছু আছে ডিলিট করে দিন। মন থেকে, মন খোলসা করে তওবা করুন, তবে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিলেও দিতে পারে ইনশাল্লাহ
![যিনা বা জিনা-----৫](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgTnvX39m4F55SdU_z1AXc67ElRlI1mu7YKZ3wkdhb3SjPbG6gXS0TE4N_nFPHo8zG66QTN52EYtlphbaqoyecXSI5W1L_5g2lp9hp0gqVt0ZZMQmxlTwFuZUb6RoW5G24VZ5FTS5C36gKYVpEaJmQSddWTHG4evwiMzQkSK2DAznIDcFFMGi6ZsM8p/s72-c/Zina.svg.png)