***যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক।
** কোন মৃত্যু ব্যক্তি বা জীবিত ব্যক্তির সন্মানে নিরবতা পালন শিরক। যেমন আমাদের সমাজে তথাকথিত কিছু দিন আছে যেগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের কে নিরবতা পালন করতে বলা হয় এমনকি স্বয়ং সংসদ এও কখনো কখনো করা হয়। এগুলো করা যাবে না।
***আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক
***যেমন নামায লম্বা করা বা সালাম দেয়া ( লোক দেখানোর উদ্দেশে)***
***আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক
***ভাগ্য গণনা বা লটারি কেটে ভাগ্য গণনা করা শিরক** ((যেমনঃ- কবিরাজের কাছে, পীরের কাছে, পাখী দারা, আথবা জীন দারা)) **লটারি কাটা শয়তানের কাজ**
**হাতের রেখা দেখে ভাগ্য গননা করা শিরক** **টিকটিকিতে টিক টিক করা মানে সে অবস্থায় নেয়া সিধান্ত কে সঠিক বলে ধারণা করা শিরক** **তার ভবিষ্যত অন্ধকার’, ‘তার কপালে বহু কষ্ট আছে’, এইধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক**
**আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক
**মৃত ব্যাক্তির কবরের কাছে গিয়ে কোন কিছু চাওয়া শিরক** ((জেমনঃ- নবী -রাসূলদের(আল্লাহ তাদের শান্তিতে রাখুন) কবরের কাছে গিয়ে, পীরের কবরের কাছে গিয়ে, পুকুরের কাছে চাওয়া বা মানত করা, গাছের কাছে চাওয়া বা মানত করা))
**মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক
***যে ঘরে ছবি বা মূর্তি থাকে সে ঘরে নামাজ হবে না***
((যেমনঃ- ক্যালেন্ডারে যেকোনো জীবজন্তুর ছবি, ঘরে বা শোকেচে সাজানো যে কোনো ধরণের মূর্তি যেমন ঘোড়া,মাছ,পাখি,কচ্ছপ ইত্যাদি, দেওয়ালে সাজানো পারিবারিক ছবি বা যেকোনো ধরণের ছবি ))
——————————————————
১)তিন রাস্তার মোড়ে বসতে নাই।
২)খানার সময় যদি কারো ঢেকুর আসে বা মাথার তালুতে উঠে যায়, তখন একজন আরেকজনকে বলে, দোস্ত তোকে যেন কেউ স্মরণ করছে বা বলা হয় তোকে গালি দিচ্ছে।
৩) কাক ডাকলে বিপদ আসবে।
৪) শুঁকুন ডাকলে মানুষ মারা যাবে।
৫)পেঁচা ডাকলে বিপদ আসবে।
৬) তিনজন একই সাথে চলা যাবে না।
৭) দুজনে ঘরে বসে কোথাও কথা বলতে লাগলে হঠাৎ টিকটিকির আওয়াজ শুনা যায়, তখন একজন অন্যজনকে বলে উঠে ‘দোস্ত তোর কথা সত্য, কারণ দেখছস না, টিকটিকি ঠিক ঠিক বলেছে।’
৮) একজন অন্য জনের মাথায় টোকা খেলে দ্বিতীয় বার টোকা দিতে হবে, একবার টোকা খাওয়া যাবে না। নতুবা মাথায় ব্যথা হবে/শিং উঠবে।
৯) ভাত প্লেটে নেওয়ার সময় একবার নিতে নাই।
১০) নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত একই খানা খাওয়াতে হবে।
১১) নতুন স্ত্রীকে স্বামীর বাড়িতে প্রথম পর্যায়ে আড়াই দিন অবস্থান করতে হবে।
১২) পাতিলের মধ্যে খানা খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নিবে।
১৩) পোড়া খানা খেলে সাতার শিখবে।
১৪) পিপড়া বা জল পোকা খেলে সাতার শিখবে।
১৫) দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত ঘরের চাউল উঠিয়ে তা পাক করে কাককে খাওয়াতে হবে এবং নিজেকেও খেতে হবে।
১৬) সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর ঝাড়– দেয়ার পূর্বে কাউকে কোন কিছু দেয়া যাবে না।
১৭) রাতের বেলা কোন কিছু লেন-দেন করা যাবে না।
১৮) সকাল বেলা দোকান খুলে যাত্রা (নগদ বিক্রি) না করে কাউকে বাকী দেয়া যাবে না। তাহলে সারা দিন বাকীই যাবে।
১৯) দাঁড়ী-পাল্লা, মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সালাম করতে হবে, না হলে লক্ষ্মী চলে যাবে।
২০) শুকরের নাম মুখে নিলে ৪০দিন মুখ নাপাক থাকে।
———————————————————–
1) রাতের বেলা কাউকে চুন ধার দিলে চুন না বলে ধই বলতে হয়।
2) বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তায় যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় তাহলে যাত্রা অশুভ হবে।
3) কোন ফসলের জমিতে বা ফল গাছে যাতে নযর না লাগে সে জন্য মাটির পাতিল সাদা-কালো রং করে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।
4) বিনা ওযুতে বড় পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাম নিলে আড়াইটা পশম পড়ে যাবে।
5) নখ চুল কেটে মাটিতে দাফন করতে হবে, কেননা বলা হয় কিয়ামতের দিন এগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
6) নতুন স্ত্রীকে দুলা ভাই কোলে করে ঘরে আনতে হবে।
7) মহিলাগণ হাতে বালা বা চুড়ি না পড়লে স্বামীর অমঙ্গল হবে।
 স্ত্রীগণ তাদের নাকে নাক ফুল না রাখলে স্বামীর বেঁচে না থাকার প্রমাণ।
9) দা, কাচি বা ছুরি ডিঙ্গিয়ে গেলে হাত-পা কেটে যাবে।
10) গলায় কাটা বিঁধলে বিড়ালের পা ধরে মাপ চাইতে হবে।
11)বেচা কেনার সময় জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না। যেমন, এক লক্ষ টাকা হলে তদস্থলে এক লক্ষ এক টাকা দিতে হবে। যেমন, দেন মোহর (কাবীন) এর সময় করে থাকে, একলক্ষ এক টাকা ধার্য করা হয়।স্বাভাবিক ভাবে করা যাবে কিন্তু বিজোড় না করলে অমঙ্গল হবে এই বিশ্বাস বা উদ্দেশ্যে করা যাবে না।
12) বন্ধু মহলে কয়েকজন বসে গল্প-গুজব করছে, তখন তাদের মধ্যে অনুপস্থিত কাউকে নিয়ে কথা চলছে, এমতাবস্থায় সে উপস্থিত হলে, কেউ কেউ বলে উঠে ‘দোস্ত তোর হায়াত আছে।’ কারণ একটু আগেই তোর কথা বলছিলাম।
13) হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুখ: আসে।
14) ইষ্টি কুটুম পাখি ডাকলে বলা হয় আত্মীয় আসবে।
15) স্বামীর নাম বলা জাবে না এতে অমঙল হয়।
16) বাছুর এর গলায় জুতার টুকরা ঝুলালে কারো কু দৃষ্টি থেকে বাচা যায়।
17)খালি ঘরে সন্ধ্যায় বাতি দিতে হয়, না হলে বিপদ অনিবার্য।
18)নবী করিম সা.-এর নাম শুনলে হাতে চুম্বন খাওয়া, তদ্রুপ মক্কা-মদিনার ছবি দেখলে চুমো খাওয়া।
19)পাতিলের মধ্যে খানা থাকা অবস্থায় তা খেলে পেট বড় হয়।
20)ছোট বাচ্চাদের শরীরে লোহা জাতীয় কিছু বেঁধে দিতে হয়, তাতে সে দুষ্টু জ্বীন-শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পায়।
———————————————————
১)পর পর কয়েক সন্তান মারা যাওয়ার পর ছেলে হলে বড়শি পুড়ে তার কপালে দাগ দেয়া দরকার।
২)খাওয়ার সময় ঢেঁকুর আসলে অথবা খাবার আটকে গেলে কেউ তাকে স্মরণ করছে বা গালি দিচ্ছে মনে করা।
৩)কাকের ডাক বিপদের পূর্বাভাস মনে করা। ৪)শকূন ডাকলে বা দেখলে কেউ মারা যাবে, এটা মনে করা।
৫)মৃতের বাড়িতে ৩ দিন পযর্ন্ত মাছ-গোশত না খাওয়া, বাধ্যতামূলক নিরামিষ খাওয়া উচিত। ৬)পুরুষের বুকে লোম থাকা স্ত্রীকে ভালোবাসার পরিচায়ক মনে করা।
৭)নতুন জামাই বাজার না করা পর্যন্ত এক পদ দিয়ে খাওয়ানো।
৮) পাতিলে ভাত খেলে মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়। ৯)কবরের খোদাইয়ের সময় প্রথম কোপের মাটি রেখে দেয়া।
১০)দাঁত উঠতে বিলম্ব হলে সাত বাড়ি থেকে চাল উঠিয়ে তা রান্না করে কাককে খাওয়ানো ও নিজেও খাওয়া।
১১)সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর ঝাড়ু দেয়ার আগ পর্যন্ত খাওয়ার জন্য কাউকে কোনো কিছু দেয়া নিষেধ।
১২) দাঁড়িপাল্লা কিংবা মাপার জিনিস পায়ে লাগলে বা হাত থেকে নিচে পড়ে গেলে সেটাকে সালাম করতে হয়, না হলে ঘরের লক্ষ্মী চলে যায়।
১৩) হঠাৎ বাম চোখ কাঁপলে দুঃখ আসবে মনে করা।
১৪) ফলবান বৃক্ষ বা বাগানে মানুষের বদ নজর এড়াতে মাটির পাতিলে সাদাকালো রং মেখে তা ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
১৫) স্ত্রীর নাকে নাক ফুল পরিধান স্বামীর জন্য মঙ্গলজনক মনে করা।
১৬) নতুন বউকে বাপের বাড়ি থেকে ধান এনে স্বামীর বাড়ির গোলায় রাখা।
১৭)ঢেঁকির ওপর বসে আহার করলে বউ মারা যায় বলে মনে করা।
১৮)নতুন গাড়ি যেমন বাস,ট্রাক কেনার পরে তাতে এই জন্য পুরাতন জুতা/স্যান্ডেল বা টায়ার ঝুলিয়ে রাখা যাতে কারোর নজর না লাগে।
১৯)যানবাহনে করে কোথাও যাওয়ার সময় সামনে দিয়ে কালো বিড়াল গেলে এক্সিডেন্ট বা ক্ষতি হতে পারে।
২০)গর্ভবতী মহিলারা কাচা মাছ বা মাংস হাত দিতে পারবে না। হাত দিতে হলে আগে সেটায় একটু আগুন দিতে হবে।
১. ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেলা যাবে না।
২. ভাই-বোন মিলে মুরগী জবেহ করা যাবে না।
৩. চোখে কোন গোটা হলে ছোট বাচ্চাদের পুরুষাঙ্গ লাগাইলে সুস্থ হয়ে যাবে।
৪.ঘর থেকে কোন উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পেছন থেকে ডাক দিলে যাত্রা অশুভ হবে।
৫. ব্যাঙ ডাকলে বৃষ্টি হবে।
৬.কুরআন মাজীদ হাত থেকে পড়ে গেলে আড়াই কেজি চাল দিতে হবে।
৭. ছোট বাচ্চাদের দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁত ফেলতে বলা হয়, দাঁত ফেলার সময় বলতে শিখানো হয়, ‘ইঁদুর ভাই, ইঁদুর ভাই, তোর চিকন দাঁত টা দে, আমার মোটা দাঁত টা নে।’
৮.মুরগীর মাথা খেলে মা-বাবার মৃত্যু দেখবে না।
৯.বলা হয়, কেউ ঘর থেকে বের হলে পিছন দিকে ফিরে তাকানো নিষেধ। তাতে নাকি যাত্রা ভঙ্গ হয় বা অশুভ হয়।
১০.ঘরের ভিতরে প্রবেশ কৃত রোদে অর্ধেক শরীর রেখে বসা যাবে না। (অর্থাৎ শরীরের কিছু অংশ রৌদ্রে আর কিছু অংশ বাহিরে) তাহলে জ্বর হবে।
১১.রাতে বাঁশ কাটা যাবে না।
১২.রাতে গাছের পাতা ছিঁড়া যাবে না।
১৩. ঘর থেকে বের হয়ে বিধবা নারী চোখে পড়লে যাত্রা অশুভ হবে।
১৪. ঘরের চৌকাঠে বসা যাবে না।
১৫.মহিলাদের মাসিক/period অবস্থায় সবুজ কাপড় পরিধান করতে হবে। তার হাতের কিছু খাওয়া যাবে না।
১৬.বিধবা নারীকে সাদা কাপড় পরিধান করতে হবে।
১৭.আঙ্গুলের ইশারায় কবর দেখালে সেই আঙ্গুল পঁচে যায়।
১৮. বিড়াল মারলে আড়াই কেজি লবণ ‘সদকা’করতে হয়।
১৯.কুকুরকে পা দিয়ে বাড়িতে গর্ত করতে দেখলে কারো মৃত্যুর আশঙ্কা আছে, এটা মনে করা।
২০.রাতে নখ, চুল, দাঁড়ি গোফ ইত্যাদি কাটতে নেই।
———————————————————–